গত এক দেড় মাসে যে কয়েকটা ভিসা আবেদন সম্পর্কিত প্রশ্ন ইনবক্সে বা BDTrippers গ্রুপে উঠে এসেছে, আজকে সেগুলার মধ্য থেকে ২ টার উত্তর দিচ্ছি। Kindly note, এইগুলো সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত মতামত এবং সেটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই। আপনার অন্য opinion থাকতেই পারে এই ব্যাপারে। এই প্রশ্নগুলোর কোনও Right বা Wrong উত্তর বলতে কিছু নেই।
Question 1: করোনার কারণে দেয়া Travel Restriction শেষ হওয়ার পর, যখন আবার সব embassy খুলবে, তখন কি Tier 4 ভিসাগুলো (USA, Schengen, UK, Australia, etc) সহজে পাওয়া যাবে?
My Opinion & Reasons for it: এক কথায়, বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হবে বলে আমার মনে হয় না। তার কারণগুলো নিচে লিখছি।
যে কারনে অনেকেই সেটা মনে করছে যে ভিসা পাওয়া সহজ হবে, সেটা হচ্ছে বেশিরভাগ developed দেশের জন্যই ট্যুরিজম একটা বিশাল ইন্ডাস্ট্রি বা কিছু দেশ ট্যুরিজম এর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল যেমন ইতালি বা গ্রিস। করোনার কারণে এইসব দেশের অর্থনীতি নানান প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে, বিশেষ করে ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি। তাই হয়তো তারা ভিসা approval কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়ে, ট্যুরিজম revive করার চেষ্টা করবে।
হ্যাঁ, অবশ্যই এইটা করাটাই স্বাভাবিক, তবে সেটার advantage হয়তো থাইল্যান্ড, চায়না, ভারত বা মধ্য প্রাচ্চের দেশগুলো বেশি ভোগ করবে। (not taking into consideration the Corona situation of the countries, but their economy or general travel trend)
আমাদের মত দেশ যেসব দেশগুলো illegal migration বা visa Violation এর জন্য বিশেষভাবে চিহ্নিত (example: Bangladesh, Nepal, Pakistan, Nigeria, to name a few), সে সব দেশের নাগরিকরা আমার মতে আগের মতো বা তার থেকে বেশি scrutiny এর মধ্যে পরবে।
I call it "I think, what he thinks, what I am thinking about him" mentality from a visa officer's point of view. যেমন বিশ্বকাপ ক্রিকেট বা ফুটবলের সময় যখন ভারত বা অন্যান্য অনেক দেশের নাগরিকরাই সাধারণ সময়ের থেকে অনেক সহজে Tier 4 ভিসা গুলো পেয়ে থাকেন, আমাদের ক্ষেত্রে হয় তার উল্টাটা। অনেক genuine আবেদনকারীর ভিসা আবেদনও প্রত্যাখ্যান করে হয়, যাঁরা হয়তো স্বাভাবিক সময়ে ভিসা পেতেন।
আসলে সব কিছুই simple math, একজন ট্যুরিস্ট এর থেকে যদি একটা দেশ ১০০০ ডলার আয় করবে বলে মনে করে, ১০০ জনের থেকে সেই দেশের আয় হবে ১,০০,০০০ ডলার। কিন্তু এর মধ্যে থেকে যদি একজন illegally থেকে যায় সেই দেশের, হয়তো সেই illegal migrant এর legal processing, allowance বা health care এ সেই দেশের খরচ হবে ঐ ১,০০,০০০ ডলারের অনেক বেশি। তাই, তাঁরা কখনোই benefit of doubt সাধারণ আবেদনকারীদের দিবে না।
My advise: আপনি যদি মনে করে থাকেন এই করোনার আগে আপনি ভিসা পাওয়ার জন্য যোগ্য ছিলেন, তাহলেই apply করা উচিৎ। নাহলে শুধু মাত্র করোনার after effect এর কারণে বাংলাদেশিরা ভিসা পাবে বলে আমার মনে হয় না।
Question 2: সুইডেন বা অন্য সেনজেন embassy থেমে ভিসা প্রত্যাখানের পর জার্মান বা ইতালি embassy থেকে ভিসা পাওয়া যায়?/ সেনজেন ভিসা যে দেশের embassy থেকে প্রত্যাখ্যান হয়, তারপর কি সেই দেশ থেকেই ভিসা নিতে হবে?
My opinion & Reasons for it: যে কোনও embassy থেকেই ভিসা পাওয়া যেতে পারে। আগের বার এক embassy রিজেক্ট করেছে বলে, পরেরবার অন্য embassy ভিসা দিবে না, এইরকম কিছু না।
যে দেশ থেকে reject হয়েছে, সেখান থেকেই apply করতে হবে, এইরকম কোনও নিয়ম নেই।
তবে, যে কারণে উপরের কথাগুলো উঠে এসেছে, বা আসে, তার অনেকগুলো কারণ আছে। সেই কারণ গুলোই নিচে লিখছি।
প্রথম কারণ, আমরা বাংলাদেশিরা বা উপমহাদেশের লোকজন backward analysis করি সেনজেন ভিসা apply করার সময়। সেটা বলতে যা বুঝিয়েছি, সেনজেন ভিসা application এর guideline প্রত্যেকটা embassy বেশ পরিষ্কার ভাবেই দিয়ে রেখেছে। সেটা হচ্ছে, আপনি যে দেশ দিয়ে সেনজেন territory তে entry নিবেন, বা যে দেশে সবথেকে বেশি দিন থাকবেন, সেই দেশেই আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হবে। কিন্তু, আমরা বেশিরভাগ লোকই সেটা না করে, তথাকথিত যে embassy পরিচিত কাওকে বা কয়েকজনকে ভিসা দিয়েছে, বা এই রকম কিছু কোন লোক বা এজেন্সির থেকে শুনে, সেই embassy তে apply করি। আমাদের একটা জিনিষ অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার, যে ডেস্কের ওই পাশেও একজন মানুষই কিন্তু আমাদের ভিসা application টা দেখবেন বা সেটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন, কোনও মেশিন না। তাই ভিসা অফিসাররাও তাঁদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে definitely এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বা বুজতে পেরেছেন। Once again, its a "I think, what he thinks, what I am thinking about him" situation.
দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে Visa Information System (VIS), যেটার দ্বারা সেনজেন দেশ গুলোর এবং আরও কিছু associate দেশ ভিসা আবেদন বা আবেদনকারীর তথ্য share করে থাকে। তাই যেখান থেকেই কেউ ভিসা আবেদন করে থাকুক না কেন, আগের সব ভিসা আবেদনের তথ্য ভিসা অফিসার চাইলে ঠিকই দেখতে পারবেন।
My advise: এইসবের কথা চিন্তা না করে, আগে ট্রাভেল প্ল্যান তৈরি করুন, তারপর আসল প্ল্যান অনুযায়ী যে দেশে আগে ঢুকবেন বা যে দেশে বেশি দিন থাকবেন, সেখানেই আবেদন করুন। তাহলেই আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভবনা সব থেকে বেশি।
তবে, যখনই আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিবেন সেনজেন ভিসার জন্য, অবশ্যই আপনার একটা realistic ট্রাভেল প্ল্যান বা কারণ দেখানো খুবই জরুরি। Always put yourself in the shoes of the visa officer and think if your application or materials like travel plans, air ticket booking, bank papers, professional papers, actually make sense. যদি আপনি মনে করে থাকেন, সেগুলো ঠিক আছে, তাহলে কোন embassy থেকে আবেদন করছেন বা সেই embassy থেকে আগের rejection ছিল কিনা, সেগুলো matter ই করবে না।
Hopefully, this post will be of some help to all prospective visa application. Once again, kindly note, these are my PERSONAL opinions only and there is NO 'right' or 'wrong' answers for any of the above questions.
Well said. Please share this article in your fb page. A lot of common questions have been answered as well as many concepts are crystal clear here.
We, bengalis tend to take a lot of things for granted when it comes to such sensitive staffs.
Thanks again brother.